top of page

জরুরি ত্রাণ বিতরণ
ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে বন্যার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বরাবরের মতো বন্যাকবলিত মানুষের পাশে আছে একতা শক্তি ফাউন্ডেশন ।

বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ:
প্রতি বছর বর্ষাকালে বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। এসময় বিশেষভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলের বানভাসি মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হন। একতা শক্তি ফাউন্ডেশন দেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে প্রতি বছরই ত্রাণ কার্যক্রম ও দুর্দশাগ্রস্ত-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে থাকে।
দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্ব ও ফযীলত অনেক বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর কষ্ট দূর করবেন, আল্লাহ তা‘আলা ইহকালে ও পরকালে তার কষ্ট দূর করে দেবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সহায়তা করতে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার কোনো ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।’ (সুনান তিরমিযী, হাদীস-২৯৪৫)
এই কার্যক্রমের আওতায় অভাবী ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হয় ।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— চাল, ডাল, তেল, আলু, চিড়া, মোমবাতি, গ্যাস লাইটার, খাবার স্যালাইন এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ।
বন্যায় ত্রাণ বিতরণ প্রকল্পের আওতায় শুধু ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি শিশুখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে নগদ অর্থ করে প্রদান করা হয়। 

শীতবস্ত্র বিতরণ :
ইসলামের অন্যতম শিক্ষা মানবসেবা। কনকনে শীতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় শীতার্ত মানুষদের একটুখানি উষ্ণতা এনে দিতে একতা শক্তি ফাউন্ডেশন প্রতি বছর আয়োজন করে ‘শীতবস্ত্র বিতরণ ও দাওয়াহ কর্মসূচি’।
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘দয়াবান লোকদের পরম করুণাময় আল্লাহও দয়া করেন। তোমরা জমিনবাসীর প্রতি সদয় হও, আসমানবাসী তোমাদের প্রতি সদয় হবেন।’ (সুনান আবু দাউদ: হাদীস-৪৯৪১; সুনান তিরমিযী, হাদীস-১৯২৪)
একতা শক্তি ফাউন্ডেশন শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি:
বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার চিরচেনা চরিত্র। গরমের তীব্রতায় পুড়ছে দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃক্ষ নিধনসহ আমাদেরই হাতের কামাইয়ের পরিণতি প্রত্যক্ষ করছি আমরা। এ থেকে রক্ষা পেতে দরকার প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে একতা শক্তি ফাউন্ডেশন প্রতিবছর সারাদেশে ফলজ বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মাসজিদ, মাদরাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী—যাদের গাছ লাগানোর মতো জমি রয়েছে—ফলজ গাছের চারা ক্রয় করে লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সাদাকায়ে জারিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ এবং দরিদ্রদের বছরব্যাপী আয়ের সুযোগ প্রদান করা হয়।
গাছ লাগানোর গুরুত্ব ও ফযীলত ও অপরিসীম। এটি একটি সাদাকায়ে জারিয়ামূলক নেক কাজ। যদি কেউ মানুষ কিংবা প্রাণীকূলের উপকার সাধনের লক্ষ্যে ফলজ বা বনজ গাছ রোপণ করে এবং এর মাধ্যমে সাওয়াব আশা করে, তবে এটি একটি উত্তম সাদাকায়ে জারিয়াহ; যার সওয়াবের ধারা ব্যক্তির মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তাহলে তা সে ব্যক্তির জন্য সাদাকাস্বরূপ।’ (সহীহ বুখারী: হাদীস-২৩২০, সহীহ মুসলিম: হাদীস-১৫৫৩)
একতা শক্তি ফাউন্ডেশন সাধারণত উন্নত জাতের ফলজ গাছ লাগানোর চেষ্টা করে। যাতে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি গরিব মানুষের অর্থের সংস্থানও হতে পারে। প্রথম বছর যেসব গাছ লাগানো হয়েছে, তা হলো—
আমগাছ (আম্রপালি)
লিচু (চায়না-৩)
সীডলেস লেবু
কিছু নারিকেলের চারা (পরীক্ষামূলক)
কিছু খেজুর গাছের চারা (পরীক্ষামূলক)
এ যাবৎ মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯২টি গাছ লাগানো হয়েছে। বর্তমানে আরো ১ লাখ বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতি বছর এই ধারা অব্যাহত থাকবে; বরং আরো বেগবান হবে ইন-শা-আল্লাহ।

PayPal ButtonPayPal Button
bottom of page